ওয়ার্ড প্রসেসর কি
ওয়ার্ড প্রসেসিং (Word Processing): ওয়ার্ড শব্দের অর্থ শব্দ আর প্রসেসিং শব্দের অর্থ প্রক্রিয়াকরণ। কম্পিউটারের সাহায্যে বর্ণমালা, সংখ্যা, চিহ্ন বা শব্দ ব্যবহার করে ডকুমেন্ট বা লিপি তৈরি করা এবং উক্ত ডকুমেন্টকে সম্পাদনাই হলো ওয়ার্ড প্রসেসিং। বর্তমানে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনেক দক্ষতার সাথে চমৎকারভাবে ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজ করা যায়। কম্পিউটারের বহুবিদ ব্যবহারের মধ্যে ওয়ার্ড প্রসেসিংও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। আর ডকুমেন্ট তৈরি ও প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত এক বিশেষ ধরনের কম্পিউটারের ব্যবস্থাকে ওয়ার্ড প্রসেসর বলা হয়। মূলত লেখালেখির কাজ করার জন্য ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামকেই ওয়ার্ড প্রসেসর বা ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম বলা হয়ে থাকে। আধুনিক ডকুমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রামসমূহ হলো- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft word), ওয়ার্ডস্টার (Wordstar), ওয়ার্ডপারফেক্ট (Wordperfect), ল্যাটেক্স (Latex), নোড প্যাড (Note Pad), ম্যাকরাইট (Mac Write), ওয়ার্ড প্যাড (Word Pad), অপেন অফিস রাইটার ইত্যাদি। তবে বর্তমানে পিসিতে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস পরিবেশে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft word) হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত এবং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসর বা ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম।
ওয়ার্ড প্রসেসর প্যাকেজ ব্যবহারের সুবিধা
একটি ওয়ার্ড প্রসেসর দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডকুমেন্ট প্রস্ত্ততকরণে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ হলো-
১। ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সহজে ও নিখুঁতভাবে চিঠিপত্র, রিপোর্ট বা কোনো ডকুমেন্ট তৈরি করা যায় এবং সংরক্ষণ করা যায়।
২। প্রয়োজনে সংরক্ষিত ডকুমেনেটর অনেক অনুলিপি বা কপি তৈরি করা যায়।
৩। প্রিন্টারের সাহায্যে সুন্দরভাবে ডকুমেনেটর প্রিন্ট বা মুদ্রণ নেয়া যায়।
৪। মেমরিতে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট পুনরায় ব্যবহার করা যায় বা প্রয়োজনে অন্য মাধ্যমে প্রেরণ করা যায়।
৫। একই সাথে একাধিক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করা যায়।
৬। ডকুমেন্টে বিভিন্ন ধরনের ফন্ট ব্যবহার করা যায়।
৭। ডকুমেনেটর অপ্রয়োজনীয় কোনো লেখা বা অংশ মুছে দেওয়া যায়।
৮। ডকুমেনেটর অংশ বিশেষ বা সম্পূর্ণ অংশ এক ডকুমেন্ট থেকে অন্য ডকুমেন্টে স্থানান্তর যায়।
৯। ডকুমেনেটর যেকোনো অংশ বস্নক করে বোল্ড, আনডার লাইন, ইটালিক ইত্যাদি করা যায়।
১০। ডকুমেনেটর বানান ও ব্যাকরণগত ভুল নির্ণয় এবং সংশোধন করা যায়।
১১। ডকুমেনেটর যেকোনো স্থানে ছবি, গ্রাফ বা চার্ট সংযোজন করা যায়।
১২।কোনো বানান বা ব্যাকরণগত ভুল থাকলে তা সঠিক করে সংরক্ষণ করা যায়।
১৩। ইচ্ছামতো টেবিল তৈরি করা যায় এবং টেবিলের ফরমেটিং কাজ করা যায়।
১৪। নিরাপত্তার জন্য ডকুমেন্টে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় ইত্যাদি।
0 comments:
Post a Comment