কিবোর্ড এর কাজ কি
কি-বোর্ড (Keyboard): কম্পিউটারে ইনপুট ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ ও বহুল ব্যবহৃত ইনপুট ডিভাইসটি হলো কি-বোর্ড। কি-বোর্ডে কিছু কি একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানো থাকে। কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য বা নির্দেশনা প্রদান, প্রচলিত ভাষায় বর্ণ, অংক বা বিশেষ চিহ্ন প্রদান করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কি-বোর্ড ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে কি-বোর্ডের মাল্টিমিডিয়া, উইন্ডোজ ও ওয়েব কি-গুলো ব্যবহার করে কম্পিউটারকে সরাসরি মাল্টিমিডিয়া, উইন্ডোজ ও ওয়েব ব্রাউজিং সম্পর্কে নির্দেশ প্রদান করা যায়। সাধারণত দুই ধরনের কি-বোর্ড পাওয়া যায়। যথা-
১. স্ট্যান্ডার্ড কি-বোর্ড ও
২. এনহ্যান্সড কি-বোড
স্ট্যান্ডার্ড কি-বোর্ডে কি থাকে ৮৩/৮৪টটি অন্যদিকে এনহ্যান্সড কি-বোর্ডে কি থাকে ১০০টির অধিক। কি-বোর্ডের ভেতরে একটি ছোট প্রসেসরযুক্ত সার্কিট এবং কতকগুলো সহায়ক আইসি (ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) থাকে। প্রতিটি কি হচ্ছে এক ধরনের সুইচ, যা সারি এবং কলামের সমন্বয়ের ওপর বসানো থাকে। যখন কি-তে চাপ দেওয়া হয় তখন একটি বৈদ্যুতিক সংকেত নির্দিষ্ট সারি বা কলাম বরাবর কি-বোর্ড প্রসেসরে যায়। প্রসেসর সেই সংকেত দেখে নির্দিষ্ট কি এর অবস্থান বুঝতে পারে এবং এনকোডারের সাহায্যে একটি বাইনারি কোড সিপিইউতে পাঠায়। এ সকল কোডকে স্ক্যান কোড বলে। স্ক্যান কোডগুলো পূর্বনির্ধারিত ও নির্দিষ্ট।
প্রতিটি কি-এর স্ক্যান কোড ভিন্ন। কম্পিউটারের মূল সার্কিট বোর্ডে (মাদারবোর্ডে) কি-বোর্ড কনেট্রালার নামে এক ধরনের চিপ থাকে, যা কি-বোর্ড থেকে পাঠানো স্ক্যান কোডগুলো গ্রহণ করে মেমরিতে (কি-বোর্ড বাফার নামে পরিচিত) সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে স্ক্যান কোডের ওপর ভিত্তি করে অপারেটিং সিস্টেম উক্ত কি এর অর্থ নিরূপণ করে। প্রতিটি নির্দেশের জন্য অ্যাসকি কোড হবে না ইউনিকোড হবে তা অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে দেয়। আর এজন্য একই কি-বোর্ড ব্যবহার করে যেকোনো ভাষার বর্ণ ইনপুট করানো সম্ভব হয়।

0 comments:
Post a Comment